বাংলা - সূরা আল-মুদ্দাসসির - পবিত্র কুরআন

পবিত্র কুরআন » বাংলা » সূরা আল-মুদ্দাসসির

Choose the reader


বাংলা

সূরা আল-মুদ্দাসসির - Verses Number 20
يَا أَيُّهَا الْمُزَّمِّلُ ( 1 ) আল-মুদ্দাসসির - Ayaa 1
হে বস্ত্রাবৃত!
قُمِ اللَّيْلَ إِلَّا قَلِيلًا ( 2 ) আল-মুদ্দাসসির - Ayaa 2
রাত্রিতে দন্ডায়মান হোন কিছু অংশ বাদ দিয়ে;
نِّصْفَهُ أَوِ انقُصْ مِنْهُ قَلِيلًا ( 3 ) আল-মুদ্দাসসির - Ayaa 3
অর্ধরাত্রি অথবা তদপেক্ষা কিছু কম
أَوْ زِدْ عَلَيْهِ وَرَتِّلِ الْقُرْآنَ تَرْتِيلًا ( 4 ) আল-মুদ্দাসসির - Ayaa 4
অথবা তদপেক্ষা বেশী এবং কোরআন আবৃত্তি করুন সুবিন্যস্ত ভাবে ও স্পষ্টভাবে।
إِنَّا سَنُلْقِي عَلَيْكَ قَوْلًا ثَقِيلًا ( 5 ) আল-মুদ্দাসসির - Ayaa 5
আমি আপনার প্রতি অবতীর্ণ করেছি গুরুত্বপূর্ণ বাণী।
إِنَّ نَاشِئَةَ اللَّيْلِ هِيَ أَشَدُّ وَطْئًا وَأَقْوَمُ قِيلًا ( 6 ) আল-মুদ্দাসসির - Ayaa 6
নিশ্চয় এবাদতের জন্যে রাত্রিতে উঠা প্রবৃত্তি দলনে সহায়ক এবং স্পষ্ট উচ্চারণের অনুকূল।
إِنَّ لَكَ فِي النَّهَارِ سَبْحًا طَوِيلًا ( 7 ) আল-মুদ্দাসসির - Ayaa 7
নিশ্চয় দিবাভাগে রয়েছে আপনার দীর্ঘ কর্মব্যস্ততা।
وَاذْكُرِ اسْمَ رَبِّكَ وَتَبَتَّلْ إِلَيْهِ تَبْتِيلًا ( 8 ) আল-মুদ্দাসসির - Ayaa 8
আপনি আপনার পালনকর্তার নাম স্মরণ করুন এবং একাগ্রচিত্তে তাতে মগ্ন হোন।
رَّبُّ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ لَا إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ فَاتَّخِذْهُ وَكِيلًا ( 9 ) আল-মুদ্দাসসির - Ayaa 9
তিনি পূর্ব ও পশ্চিমের অধিকর্তা। তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। অতএব, তাঁকেই গ্রহণ করুন কর্মবিধায়করূপে।
وَاصْبِرْ عَلَىٰ مَا يَقُولُونَ وَاهْجُرْهُمْ هَجْرًا جَمِيلًا ( 10 ) আল-মুদ্দাসসির - Ayaa 10
কাফেররা যা বলে, তজ্জন্যে আপনি সবর করুন এবং সুন্দরভাবে তাদেরকে পরিহার করে চলুন।
وَذَرْنِي وَالْمُكَذِّبِينَ أُولِي النَّعْمَةِ وَمَهِّلْهُمْ قَلِيلًا ( 11 ) আল-মুদ্দাসসির - Ayaa 11
বিত্ত-বৈভবের অধিকারী মিথ্যারোপকারীদেরকে আমার হাতে ছেড়ে দিন এবং তাদেরকে কিছু অবকাশ দিন।
إِنَّ لَدَيْنَا أَنكَالًا وَجَحِيمًا ( 12 ) আল-মুদ্দাসসির - Ayaa 12
নিশ্চয় আমার কাছে আছে শিকল ও অগ্নিকুন্ড।
وَطَعَامًا ذَا غُصَّةٍ وَعَذَابًا أَلِيمًا ( 13 ) আল-মুদ্দাসসির - Ayaa 13
গলগ্রহ হয়ে যায় এমন খাদ্য এবং যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।
يَوْمَ تَرْجُفُ الْأَرْضُ وَالْجِبَالُ وَكَانَتِ الْجِبَالُ كَثِيبًا مَّهِيلًا ( 14 ) আল-মুদ্দাসসির - Ayaa 14
যেদিন পৃথিবী পর্বতমালা প্রকম্পিত হবে এবং পর্বতসমূহ হয়ে যাবে বহমান বালুকাস্তুপ।
إِنَّا أَرْسَلْنَا إِلَيْكُمْ رَسُولًا شَاهِدًا عَلَيْكُمْ كَمَا أَرْسَلْنَا إِلَىٰ فِرْعَوْنَ رَسُولًا ( 15 ) আল-মুদ্দাসসির - Ayaa 15
আমি তোমাদের কাছে একজন রসূলকে তোমাদের জন্যে সাক্ষী করে প্রেরণ করেছি, যেমন প্রেরণ করেছিলাম ফেরাউনের কাছে একজন রসূল।
فَعَصَىٰ فِرْعَوْنُ الرَّسُولَ فَأَخَذْنَاهُ أَخْذًا وَبِيلًا ( 16 ) আল-মুদ্দাসসির - Ayaa 16
অতঃপর ফেরাউন সেই রসূলকে অমান্য করল, ফলে আমি তাকে কঠিন শাস্তি দিয়েছি।
فَكَيْفَ تَتَّقُونَ إِن كَفَرْتُمْ يَوْمًا يَجْعَلُ الْوِلْدَانَ شِيبًا ( 17 ) আল-মুদ্দাসসির - Ayaa 17
অতএব, তোমরা কিরূপে আত্নরক্ষা করবে যদি তোমরা সেদিনকে অস্বীকার কর, যেদিন বালককে করে দিব বৃদ্ধ?
السَّمَاءُ مُنفَطِرٌ بِهِ ۚ كَانَ وَعْدُهُ مَفْعُولًا ( 18 ) আল-মুদ্দাসসির - Ayaa 18
সেদিন আকাশ বিদীর্ণ হবে। তার প্রতিশ্রুতি অবশ্যই বাস্তবায়িত হবে।
إِنَّ هَٰذِهِ تَذْكِرَةٌ ۖ فَمَن شَاءَ اتَّخَذَ إِلَىٰ رَبِّهِ سَبِيلًا ( 19 ) আল-মুদ্দাসসির - Ayaa 19
এটা উপদেশ। অতএব, যার ইচ্ছা, সে তার পালনকর্তার দিকে পথ অবলম্বন করুক।
إِنَّ رَبَّكَ يَعْلَمُ أَنَّكَ تَقُومُ أَدْنَىٰ مِن ثُلُثَيِ اللَّيْلِ وَنِصْفَهُ وَثُلُثَهُ وَطَائِفَةٌ مِّنَ الَّذِينَ مَعَكَ ۚ وَاللَّهُ يُقَدِّرُ اللَّيْلَ وَالنَّهَارَ ۚ عَلِمَ أَن لَّن تُحْصُوهُ فَتَابَ عَلَيْكُمْ ۖ فَاقْرَءُوا مَا تَيَسَّرَ مِنَ الْقُرْآنِ ۚ عَلِمَ أَن سَيَكُونُ مِنكُم مَّرْضَىٰ ۙ وَآخَرُونَ يَضْرِبُونَ فِي الْأَرْضِ يَبْتَغُونَ مِن فَضْلِ اللَّهِ ۙ وَآخَرُونَ يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ ۖ فَاقْرَءُوا مَا تَيَسَّرَ مِنْهُ ۚ وَأَقِيمُوا الصَّلَاةَ وَآتُوا الزَّكَاةَ وَأَقْرِضُوا اللَّهَ قَرْضًا حَسَنًا ۚ وَمَا تُقَدِّمُوا لِأَنفُسِكُم مِّنْ خَيْرٍ تَجِدُوهُ عِندَ اللَّهِ هُوَ خَيْرًا وَأَعْظَمَ أَجْرًا ۚ وَاسْتَغْفِرُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ ( 20 ) আল-মুদ্দাসসির - Ayaa 20
আপনার পালনকর্তা জানেন, আপনি এবাদতের জন্যে দন্ডায়মান হন রাত্রির প্রায় দু’তৃতীয়াংশ, অর্ধাংশ ও তৃতীয়াংশ এবং আপনার সঙ্গীদের একটি দলও দন্ডায়মান হয়। আল্লাহ দিবা ও রাত্রি পরিমাপ করেন। তিনি জানেন, তোমরা এর পূর্ণ হিসাব রাখতে পার না। অতএব তিনি তোমাদের প্রতি ক্ষমা পরায়ন হয়েছেন। কাজেই কোরআনের যতটুকু তোমাদের জন্যে সহজ, ততটুকু আবৃত্তি কর। তিনি জানেন তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ অসুস্থ হবে, কেউ কেউ আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধানে দেশে-বিদেশে যাবে এবং কেউ কেউ আল্লাহর পথে জেহাদে লিপ্ত হবে। কাজেই কোরআনের যতটুকু তোমাদের জন্যে সহজ ততটুকু আবৃত্তি কর। তোমরা নামায কায়েম কর, যাকাত দাও এবং আল্লাহকে উত্তম ঋণ দাও। তোমরা নিজেদের জন্যে যা কিছু অগ্রে পাঠাবে, তা আল্লাহর কাছে উত্তম আকারে এবং পুরস্কার হিসেবে বর্ধিতরূপে পাবে। তোমরা আল্লাহর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা কর। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু।

বই

  • ইসলামি আকিদা ও মানবপ্রকৃতিইসলামি আকিদা ও মানবপ্রকৃতি: বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে ইসলামি আকিদার বৈশিষ্ট্য, মানবপ্রকৃতির সাথে ইসলামি আকিদার সামঞ্জস্যতা, ইসলামি আকিদার মৌলিক বিষয়াবলি গবেষণাধর্মী আলোচনায় তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে বক্ষ্যমাণ গ্রন্থে।

    সম্পাদক : ইকবাল হোছাইন মাছুম

    অনুবাদক : সানাউল্লাহ নজির আহমদ

    প্রকাশনায় : ইসলাম প্রচার ব্যুরো, রাবওয়াহ, রিয়াদ

    Source : http://www.islamhouse.com/p/316711

    Download :ইসলামি আকিদা ও মানবপ্রকৃতিইসলামি আকিদা ও মানবপ্রকৃতি

  • আল্লাহর দিকে রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দাওয়াতের বাস্তব কিছু নমুনাএ বইটিতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লা ইসলামের দাওয়াত দিতে গিয়ে যে ধরনের ত্যাগ ও জুলুম-নির্যাতনের স্বীকার হন, তা আলোচনা করা হয় এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লা দাওয়াতী ময়দানে দাওয়াত দিতে গিয়ে কি কি ধরনের হিকমত ও কৌশল অবলম্বন করেন তা সংক্ষেপে তুলে ধরা হয়।

    সংকলন : সাঈদ বিন আলী বিন ওয়াহাফ আল-ক্বাহত্বানী

    সম্পাদক : মো: আব্দুল কাদের

    অনুবাদক : জাকের উল্লাহ আবুল খায়ের

    প্রকাশনায় : ইসলাম প্রচার ব্যুরো, রাবওয়াহ, রিয়াদ

    Source : http://www.islamhouse.com/p/356832

    Download :আল্লাহর দিকে রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দাওয়াতের বাস্তব কিছু নমুনাআল্লাহর দিকে রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দাওয়াতের বাস্তব কিছু নমুনা

  • নবী সা. যেভাবে হজ করেছেন (জাবের রা. যেমন বর্ণনা করেছেন)প্রতিটি ইবাদতেরই কিছু নিয়ম-পদ্ধতি রয়েছে। আল্লাহ্ তা‘আলা নিজে তা বর্ণনা করেছেন অথবা রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে তা বর্ণনা করতে বলেছেন। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম হিজরতে পরে একটি মাত্র হজ্জ করেছিলেন। সেই হজ্জকে বিদায় হজ বলা হয়; কারণ তিনি সেই হজ্জে মানুষ থেকে বিদায় নিয়েছিলেন। এই হজ্জেই রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম হজ্জের নিয়মপদ্ধতি শিক্ষা দিয়েছেন এবং বলেছিলেন: “তোমরা আমার কাছ থেকে তোমাদের হজ্জের পদ্ধতি জেনে নাও”। এই হজ্জের বর্ণনা দিয়েছেন বিশিষ্ট সাহাবী জাবের ইবন আব্দিল্লাহ্ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু। গ্রন্থটিতে এই হাদীসটি বিভিন্ন ব্যাখ্যাসহ উপস্থাপন করা হয়েছে।

    সংকলন : মুহাম্মদ নাসিরুদ্দীন আল আলবানী

    সম্পাদক : আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া

    অনুবাদক : নুমান বিন আবুল বাশার

    প্রকাশনায় : ইসলাম প্রচার ব্যুরো, রাবওয়াহ, রিয়াদ

    Source : http://www.islamhouse.com/p/357770

    Download :নবী সা. যেভাবে হজ করেছেন (জাবের রা. যেমন বর্ণনা করেছেন)নবী সা. যেভাবে হজ করেছেন (জাবের রা. যেমন বর্ণনা করেছেন)

  • কাদিয়ানীরা নিন্দনীয় কেন?কাদিয়ানীরা কেন নিন্দনীয়!? গ্রন্থটিতে গ্রন্থকার কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের আকীদা বিশ্বাস নিয়ে বিস্তারিত আলাপ করেছেন। আল্লাহ সম্পর্কে, ফেরেশতা সম্পর্কে, রাসূল ও কিতাব সম্পর্কে, আখেরাত ও তাকদীর সম্পর্কে এবং সালাত, সাওম, যাকাত ও হজ্জ সম্পর্কে কাদিয়ানীদের আকীদা-বিশ্বাস তাদের গ্রন্থ থেকেই উদ্ধৃত করা হয়েছে।

    অনুবাদক : আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া

    প্রকাশনায় : ইসলাম প্রচার ব্যুরো, রাবওয়াহ, রিয়াদ

    Source : http://www.islamhouse.com/p/353688

    Download :কাদিয়ানীরা নিন্দনীয় কেন?কাদিয়ানীরা নিন্দনীয় কেন?

  • ইসলামী আইন না মানার বিধানইসলামী আইন না মানার বিধান: গ্রন্থটিতে লেখক ইসলামী আইন না মানার বিধান বর্ণনা করেছেন। তারপর না মানার কারণে কি কি সমস্যা হয় তাও উল্লেখ করেছেন। সাথে সাথে তিনি সে সমস্ত প্রশ্নের উত্তরও প্রদান করেছেন ইসলামী আইন সম্পর্কে যা কোন কোন মানুষের মনে দানা বেঁধে আছে। তিনি দলীল ও যৌক্তিকতা তুলে ধরে সে সমস্ত সন্দেহ দূর করার চেষ্টা করেছেন।

    সংকলন : আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া

    সম্পাদক : মোহাম্মদ মানজুরে ইলাহী

    প্রকাশনায় : ইসলাম প্রচার ব্যুরো, রাবওয়াহ, রিয়াদ

    Source : http://www.islamhouse.com/p/373421

    Download :ইসলামী আইন না মানার বিধানইসলামী আইন না মানার বিধান