বাংলা - সূরা আল-মুলক

পবিত্র কুরআন » বাংলা » সূরা আল-মুলক

বাংলা

সূরা আল-মুলক - Verses Number 12
يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ لِمَ تُحَرِّمُ مَا أَحَلَّ اللَّهُ لَكَ ۖ تَبْتَغِي مَرْضَاتَ أَزْوَاجِكَ ۚ وَاللَّهُ غَفُورٌ رَّحِيمٌ ( 1 ) আল-মুলক - Ayaa 1
হে নবী, আল্লাহ আপনার জন্যে যা হালাল করছেন, আপনি আপনার স্ত্রীদেরকে খুশী করার জন্যে তা নিজের জন্যে হারাম করেছেন কেন? আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়াময়।
قَدْ فَرَضَ اللَّهُ لَكُمْ تَحِلَّةَ أَيْمَانِكُمْ ۚ وَاللَّهُ مَوْلَاكُمْ ۖ وَهُوَ الْعَلِيمُ الْحَكِيمُ ( 2 ) আল-মুলক - Ayaa 2
আল্লাহ তোমাদের জন্যে কসম থেকে অব্যহতি লাভের উপায় নির্ধারণ করে দিয়েছেন। আল্লাহ তোমাদের মালিক। তিনি সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।
وَإِذْ أَسَرَّ النَّبِيُّ إِلَىٰ بَعْضِ أَزْوَاجِهِ حَدِيثًا فَلَمَّا نَبَّأَتْ بِهِ وَأَظْهَرَهُ اللَّهُ عَلَيْهِ عَرَّفَ بَعْضَهُ وَأَعْرَضَ عَن بَعْضٍ ۖ فَلَمَّا نَبَّأَهَا بِهِ قَالَتْ مَنْ أَنبَأَكَ هَٰذَا ۖ قَالَ نَبَّأَنِيَ الْعَلِيمُ الْخَبِيرُ ( 3 ) আল-মুলক - Ayaa 3
যখন নবী তাঁর একজন স্ত্রীর কাছে একটি কথা গোপনে বললেন, অতঃপর স্ত্রী যখন তা বলে দিল এবং আল্লাহ নবীকে তা জানিয়ে দিলেন, তখন নবী সে বিষয়ে স্ত্রীকে কিছু বললেন এবং কিছু বললেন না। নবী যখন তা স্ত্রীকে বললেন, তখন স্ত্রী বললেনঃ কে আপনাকে এ সম্পর্কে অবহিত করল? নবী বললেন,ঃ যিনি সর্বজ্ঞ, ওয়াকিফহাল, তিনি আমাকে অবহিত করেছেন।
إِن تَتُوبَا إِلَى اللَّهِ فَقَدْ صَغَتْ قُلُوبُكُمَا ۖ وَإِن تَظَاهَرَا عَلَيْهِ فَإِنَّ اللَّهَ هُوَ مَوْلَاهُ وَجِبْرِيلُ وَصَالِحُ الْمُؤْمِنِينَ ۖ وَالْمَلَائِكَةُ بَعْدَ ذَٰلِكَ ظَهِيرٌ ( 4 ) আল-মুলক - Ayaa 4
তোমাদের অন্তর অন্যায়ের দিকে ঝুঁকে পড়েছে বলে যদি তোমরা উভয়ে তওবা কর, তবে ভাল কথা। আর যদি নবীর বিরুদ্ধে একে অপরকে সাহায্য কর, তবে জেনে রেখ আল্লাহ জিবরাঈল এবং সৎকর্মপরায়ণ মুমিনগণ তাঁর সহায়। উপরন্তুত ফেরেশতাগণও তাঁর সাহায্যকারী।
عَسَىٰ رَبُّهُ إِن طَلَّقَكُنَّ أَن يُبْدِلَهُ أَزْوَاجًا خَيْرًا مِّنكُنَّ مُسْلِمَاتٍ مُّؤْمِنَاتٍ قَانِتَاتٍ تَائِبَاتٍ عَابِدَاتٍ سَائِحَاتٍ ثَيِّبَاتٍ وَأَبْكَارًا ( 5 ) আল-মুলক - Ayaa 5
যদি নবী তোমাদের সকলকে পরিত্যাগ করেন, তবে সম্ভবতঃ তাঁর পালনকর্তা তাঁকে পরিবর্তে দিবেন তোমাদের চাইতে উত্তম স্ত্রী, যারা হবে আজ্ঞাবহ, ঈমানদার, নামাযী তওবাকারিণী, এবাদতকারিণী, রোযাদার, অকুমারী ও কুমারী।
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا قُوا أَنفُسَكُمْ وَأَهْلِيكُمْ نَارًا وَقُودُهَا النَّاسُ وَالْحِجَارَةُ عَلَيْهَا مَلَائِكَةٌ غِلَاظٌ شِدَادٌ لَّا يَعْصُونَ اللَّهَ مَا أَمَرَهُمْ وَيَفْعَلُونَ مَا يُؤْمَرُونَ ( 6 ) আল-মুলক - Ayaa 6
মুমিনগণ, তোমরা নিজেদেরকে এবং তোমাদের পরিবার-পরিজনকে সেই অগ্নি থেকে রক্ষা কর, যার ইন্ধন হবে মানুষ ও প্রস্তর, যাতে নিয়োজিত আছে পাষাণ হৃদয়, কঠোরস্বভাব ফেরেশতাগণ। তারা আল্লাহ তা’আলা যা আদেশ করেন, তা অমান্য করে না এবং যা করতে আদেশ করা হয়, তাই করে।
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ كَفَرُوا لَا تَعْتَذِرُوا الْيَوْمَ ۖ إِنَّمَا تُجْزَوْنَ مَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ ( 7 ) আল-মুলক - Ayaa 7
হে কাফের সম্প্রদায়, তোমরা আজ ওযর পেশ করো না। তোমাদেরকে তারই প্রতিফল দেয়া হবে, যা তোমরা করতে।
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا تُوبُوا إِلَى اللَّهِ تَوْبَةً نَّصُوحًا عَسَىٰ رَبُّكُمْ أَن يُكَفِّرَ عَنكُمْ سَيِّئَاتِكُمْ وَيُدْخِلَكُمْ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِن تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ يَوْمَ لَا يُخْزِي اللَّهُ النَّبِيَّ وَالَّذِينَ آمَنُوا مَعَهُ ۖ نُورُهُمْ يَسْعَىٰ بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَبِأَيْمَانِهِمْ يَقُولُونَ رَبَّنَا أَتْمِمْ لَنَا نُورَنَا وَاغْفِرْ لَنَا ۖ إِنَّكَ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ ( 8 ) আল-মুলক - Ayaa 8
মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহ তা’আলার কাছে তওবা কর-আন্তরিক তওবা। আশা করা যায়, তোমাদের পালনকর্তা তোমাদের মন্দ কর্মসমূহ মোচন করে দেবেন এবং তোমাদেরকে দাখিল করবেন জান্নাতে, যার তলদেশে নদী প্রবাহিত। সেদিন আল্লাহ নবী এবং তাঁর বিশ্বাসী সহচরদেরকে অপদস্থ করবেন না। তাদের নূর তাদের সামনে ও ডানদিকে ছুটোছুটি করবে। তারা বলবেঃ হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদের নূরকে পূর্ণ করে দিন এবং আমাদেরকে ক্ষমা করুন। নিশ্চয় আপনি সবকিছুর উপর সর্ব শক্তিমান।
يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ جَاهِدِ الْكُفَّارَ وَالْمُنَافِقِينَ وَاغْلُظْ عَلَيْهِمْ ۚ وَمَأْوَاهُمْ جَهَنَّمُ ۖ وَبِئْسَ الْمَصِيرُ ( 9 ) আল-মুলক - Ayaa 9
হে নবী! কাফের ও মুনাফিকদের বিরুদ্ধে জেহাদ করুন এবং তাদের প্রতি কঠোর হোন। তাদের ঠিকানা জাহান্নাম। সেটা কতই না নিকৃষ্ট স্থান।
ضَرَبَ اللَّهُ مَثَلًا لِّلَّذِينَ كَفَرُوا امْرَأَتَ نُوحٍ وَامْرَأَتَ لُوطٍ ۖ كَانَتَا تَحْتَ عَبْدَيْنِ مِنْ عِبَادِنَا صَالِحَيْنِ فَخَانَتَاهُمَا فَلَمْ يُغْنِيَا عَنْهُمَا مِنَ اللَّهِ شَيْئًا وَقِيلَ ادْخُلَا النَّارَ مَعَ الدَّاخِلِينَ ( 10 ) আল-মুলক - Ayaa 10
আল্লাহ তা’আলা কাফেরদের জন্যে নূহ-পত্নী ও লূত-পত্নীর দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেছেন। তারা ছিল আমার দুই ধর্মপরায়ণ বান্দার গৃহে। অতঃপর তারা তাদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করল। ফলে নূহ ও লূত তাদেরকে আল্লাহ তা’আলার কবল থেকে রক্ষা করতে পারল না এবং তাদেরকে বলা হলঃ জাহান্নামীদের সাথে জাহান্নামে চলে যাও।
وَضَرَبَ اللَّهُ مَثَلًا لِّلَّذِينَ آمَنُوا امْرَأَتَ فِرْعَوْنَ إِذْ قَالَتْ رَبِّ ابْنِ لِي عِندَكَ بَيْتًا فِي الْجَنَّةِ وَنَجِّنِي مِن فِرْعَوْنَ وَعَمَلِهِ وَنَجِّنِي مِنَ الْقَوْمِ الظَّالِمِينَ ( 11 ) আল-মুলক - Ayaa 11
আল্লাহ তা’আলা মুমিনদের জন্যে ফেরাউন-পত্নীর দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেছেন। সে বললঃ হে আমার পালনকর্তা! আপনার সন্নিকটে জান্নাতে আমার জন্যে একটি গৃহ নির্মাণ করুন, আমাকে ফেরাউন ও তার দুস্কর্ম থেকে উদ্ধার করুন এবং আমাকে যালেম সম্প্রদায় থেকে মুক্তি দিন।
وَمَرْيَمَ ابْنَتَ عِمْرَانَ الَّتِي أَحْصَنَتْ فَرْجَهَا فَنَفَخْنَا فِيهِ مِن رُّوحِنَا وَصَدَّقَتْ بِكَلِمَاتِ رَبِّهَا وَكُتُبِهِ وَكَانَتْ مِنَ الْقَانِتِينَ ( 12 ) আল-মুলক - Ayaa 12
আর দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেছেন এমরান-তনয়া মরিয়মের, যে তার সতীত্ব বজায় রেখেছিল। অতঃপর আমি তার মধ্যে আমার পক্ষ থেকে জীবন ফুঁকে দিয়েছিলাম এবং সে তার পালনকর্তার বানী ও কিতাবকে সত্যে পরিণত করেছিল। সে ছিল বিনয় প্রকাশকারীনীদের একজন।

বই

  • রমজান ও পরবর্তী সময়ে করণীয়রমজান ও পরবর্তী সময়ে করণীয় : রমজানের মহত্তোম সময়ে বান্দা নিজেকে গড়ে নেবে তার রবের ইচ্ছানুসারে। রমজান মাসে একজন মুমিনের এটাই সর্বোত্তম পাওনা। রমজান সংক্রান্ত বিস্তারিত জ্ঞান না থাকার দরুন সামাজিকভাবে বিশুদ্ধ উপায়ে রমজান যাপিত হয় না, ফলে রমজানের মূল লক্ষ্য-উদ্দেশ্যই বাধাপ্রাপ্ত হয়। বর্তমান ক্ষুদ্র পুস্তিকাটিতে রমজান সংক্রান্ত যাবতীয় মাসআলা সম্পর্কে প্রাথমিক ও প্রয়োজনীয় ধারণা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। আশা করি পাঠক এতে উপকৃত হবেন।

    সংকলন : চৌধুরী আবুল কালাম আজাদ

    সম্পাদক : নুমান বিন আবুল বাশার

    প্রকাশনায় : ইসলাম প্রচার ব্যুরো, রাবওয়াহ, রিয়াদ

    Source : http://www.islamhouse.com/p/54567

    Download :রমজান ও পরবর্তী সময়ে করণীয়রমজান ও পরবর্তী সময়ে করণীয়

  • নাজাফ সম্মেলননাজাফ সম্মেলন: মুহিব্বুদ্দিন আল-খতিব বলেন, এ সম্মেলনটি মুসলিমদের ইতিহাসে শিয়া ও সুন্নীদের জন্য এক বিরাট সম্মেলন হিসেবে বিবেচিত, বরং এটিই প্রথম সম্মেলন, এরপর এর ধরনের সম্মেলন আর সংঘটিত হয় নি; যদিও এর প্রয়োজন ছিল। কারণ সাফাভী রাজবংশ এখনও ভিন্ন নামে ভিন্ন ভিন্ন উদ্দেশ্য এখনো প্রতিষ্ঠিত রয়েছে। সুতরাং পূর্ববর্তী সাফাভীরা যে অন্যায়ের প্রচলন করেছে বর্তমান কালের শিয়ারাও সে একই আকীদায় বিশ্বাসী। তারা তাকীয়্যা, ইসলামের প্রতি ভালবাসার যতই প্রকাশ করুক না কেন, তারা মূলত ইসলাম বিদ্বেষী। বাদশাহ নাদির শাহের সময়ে অনুষ্ঠিত সে সম্মেলনে তারা ঐক্যের স্বার্থে তাদের অনেক অন্যায় কাজ পরিত্যাগ করতে রাজী হয়েছিল, তন্মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ছিল, ১-সাহাবায়ে কিরামকে গালি দেয়া, কাফির বলা, আবু বকর, উমর, উসমানের শ্রেষ্ঠত্ব স্বীকার করা। ২- মুত‘আ বিয়ে বাতিল করা। ইত্যাদি

    সম্পাদক : আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া

    প্রকাশনায় : ইসলাম প্রচার ব্যুরো, রাবওয়াহ, রিয়াদ

    Source : http://www.islamhouse.com/p/353681

    Download :নাজাফ সম্মেলননাজাফ সম্মেলন

  • তাওহীদ ও ঈমান অধ্যায়এ কিতাবটি শায়খ মুহাম্মদ বিন ইবরাহিম আত-তুআইজিরি কর্তৃক লিখিত মুখতাছার আল-ফিকহিল ইসলামীর প্রথম অধ্যায়। কিতাবটিতে তাওহীদ ও ঈমানের ১১ টি বিষয়ে আলোচনা এসেছে।

    সংকলন : মুহাম্মদ বিন ইবরাহীম আত তুআইজিরী

    সম্পাদক : আব্দুল্লাহ শহীদ আব্দুর রহমান

    অনুবাদক : ইকবাল হোছাইন মাছুম

    প্রকাশনায় : ইসলাম প্রচার ব্যুরো, রাবওয়াহ, রিয়াদ

    Source : http://www.islamhouse.com/p/193002

    Download :তাওহীদ ও ঈমান অধ্যায়

  • মদিনার ফজিলতমদিনার ফজিলত : মদিনা সেই পুন্যভূমির নাম, যেখানে রাসূলের আবির্ভাব ও তাকে কেন্দ্র করে ইসলামের প্রসার-বিস্তৃতি ঘটেছে। ইসলামে মদিনার ফজিলত অনেক। তবে, ইসলামের অন্য যে কোন ফজিলত ও বরকতময় অনুষঙ্গের মতই এই ফজিলতকেও নানা সময় নানা ভাবে বিকৃত করার অপচেষ্টা হয়েছে। নিবন্ধটিতে মদিনার শরিয়ত সমর্থিত ফাজায়েল, সে সংক্রান্ত হুকুম-আহকাম ইত্যাদি শরিয়তের আলোকে বর্ণনার প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে।

    সংকলন : আব্দুল মুহিসন বিন হামাদ আল আব্বাদ আল বদর

    সম্পাদক : আব্দুল্লাহ শহীদ আব্দুর রহমান

    অনুবাদক : সানাউল্লাহ নজির আহমদ

    প্রকাশনায় : ইসলাম প্রচার ব্যুরো, রাবওয়াহ, রিয়াদ

    Source : http://www.islamhouse.com/p/50177

    Download :মদিনার ফজিলতমদিনার ফজিলত

  • মহিলাদের স্রাব ও প্রসূতি অবস্থার বিধিবিধান সংক্রান্ত ৬০টি প্রশ্নমহিলাদের স্রাব ও প্রসূতি অবস্থার বিধিবিধান সংক্রান্ত ৬০টি প্রশ্ন: গ্রন্থটিতে হায়েয ও নেফাস বিষয়ক ৬০টি বিধান বর্ণিত হয়েছে। কিভাবে পবিত্র হবে, কিভাবে নামায পড়বে, কিভাবে রোযা রাখবে, কিভাবে হজের রুকন আদায় করবে এ বিষয়গুলো প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে স্পষ্ট করা হয়েছে।

    সংকলন : মুহাম্মাদ ইবন সালেহ আল-উসাইমীন

    সম্পাদক : আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া

    অনুবাদক : আব্দুল আলীম বিন কাওসার

    Source : http://www.islamhouse.com/p/383814

    Download :মহিলাদের স্রাব ও প্রসূতি অবস্থার বিধিবিধান সংক্রান্ত ৬০টি প্রশ্নমহিলাদের স্রাব ও প্রসূতি অবস্থার বিধিবিধান সংক্রান্ত ৬০টি প্রশ্ন

ভাষা

Choose সূরা

বই

Choose tafseer

Participate

Bookmark and Share